ও অসতো মা সঙ্গময়।
তমসো মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোমামৃতং গময়।
ওম্ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।
“প্রার্থনা সঙ্গীত”
।। জাতীয় সংগীত।।

জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উত্কল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে॥
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিদ্যালয়ের নির্ধারিত প্রার্থনা সঙ্গীত
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে॥
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
লক্ষ্য-শূন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে গভীর আঁধারে,
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন্ অকুল-গরল-পাথারে!
প্রভু, বিশ্ব-বিপদহন্তা, তুমি দাঁড়াও, রুধিয়া পন্থা;
তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর মত্ত-বাসনা ঘুচায়ে!
আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে, ভূধরসলিলে, গহনে;
আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়, শশীতারকায় তপনে।
আমি, নয়নে বসন বাঁধিয়া, ব’সে, আঁধারে মরিগো কাঁদিয়া;
আমি, দেখি নাই কিছু, বুঝি নাই কিছু, দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে।
— রজনীকান্ত সেন
অসৎ হইতে মোরে সৎ পথে নাও
জ্ঞানের আলোক জ্বেলে আঁধার ঘুচাও
মরণের ভয় যার অমর করো
দেখা দিয়ে ভগবান শঙ্কা হর।
অসৎ হইতে মোরে সৎ পথে নাও
জ্ঞানের আলোক জ্বেলে আধার ঘুচাও।
করুণা আশীষ ঢালো রুদ্র শিরে
চিরদিন থাকো মোর জীবন ঘিরে
ঝরিয়া পড়ুক শান্তি চরাচরময়
চিরশান্তি পরিমলে ভরুক হৃদয়।
স্বদেশ মন্ত্র
হে বীর, সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই। বল-মূর্খ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চন্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই; তুমিও কটি মাত্র বস্ত্রাবৃত হইয়া, সদর্পে ডাকিয়া বল ভারতবাসী আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেব দেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের সমাজ আমার শিশুশয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের বারাণসী; বল ভাই-ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ; বল দিন রাত ‘হে গৌরীনাথ, হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও; মা আমার দুর্বলতা, কাপুরুষতা দূর কর, ‘আমায় মানুষ কর’।
— স্বামী বিবেকানন্দ
সভাপতির কলমে
রানিচক দেশপ্রাণ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দুটি শিক্ষাবর্ষ অতিক্রম করে আজ মন যেন ভারাক্রান্ত। যে স্বপ্ন ও উদ্যম নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম তা কিছুটা হলে যেন ম্লান হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার আদর্শ পরিবেশ গঠনের জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘাটতি আমাদেরকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া, যুগোপযোগী শিক্ষা পরিকাঠামোর ঘাটতি, সর্বোপরি কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক- অভিভাবিকাদের উদাসীনতা এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য আগামী সমাজের প্রয়োজনে সুশিক্ষিত নাগরিক গঠন করা কিন্তু বর্তমান সামাজিক পরিবেশই সেই পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট পর্দার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিশুদের শৈশবেই আত্মহত্যা করাচ্ছে। ফলে এটা নিশ্চিত যে আগামী পৃথিবী শিশুদের জন্য আরও কঠিন হতে চলেছে। তাই আমাদের এমন একটি পৃথিবী তৈরী করা উচিত যেখানে প্রতিটি শিশু যেন আত্মহত্যা না করে এবং তাদের জীবনের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের পরিবেশ যেন গঠিত হয়ে থাকে। শুধু শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠালেই হবে না, শিশুদের বিকাশের জন্য সম্মিলিতভাবে আদর্শ পরিবেশ গঠন করতে হবে। অতএব শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-অভিভাবিকা, শিক্ষানুরাগী, বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীবৃন্দ, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রত্যেকের কাছেই আমার বিনীত আবেদন, “আসুন সকলের সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমরা প্রতিটি শিশুকে সেই পৃথিবী উপহার দিই।”
রমেশ মন্ডল
সভাপতি
পরিচালন সমিতি
রাণীচক দেশপ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষিকার কলমে
ভালো মন্দে মিশিয়ে কেটে গেলো একটি বছর। কোভিজ- ১৯ প্রভাব কাটিয়ে অনেক খানি ছন্দে ফিরেছে বিদ্যালয় তথা সমাজ জীবন। আর একটি নতুন বৎসরে অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে আরম্ভ করতে চলেছি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ। বিদ্যালয় প্রাঙ্গন হাসি, আনন্দে কলরবে হোক মুখরিত। শিক্ষা লাভ করুক আনন্দের মধ্যে।
চাইলেও তো সব আনন্দময় হয় না। গত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে হারিয়েছি আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক শ্রী বিনয়ানন্দ দাস বর্মন মহাশয় কে। ছাত্র প্রিয় শিক্ষকের পরিবারের প্রতি রইলো আমাদের সমবেদনা, কামনা করি তাঁর আত্মার শান্তি।
বিদ্যালয় শিক্ষায় এখন শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত বহু কাজে অংশগ্রহণ করতে হয় যা শিক্ষাদানে বিঘ্ন ঘটায়। পুস্তক তালিকাটি পড়লে অবশ্যই অভিভাবকবৃন্দ দেখতে পাবেন তার তালিকা। শিক্ষকদের এই চাপ মুক্ত রাখতে সরকারী পরিকাঠামো যাতে পরিবর্তন করা যায় সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সকলের।
সবশেষে আবেদন রাখি অভিভাবকদের কাছে শিশু কিশোরদের শাসনে, সোহাগে, ভালোবাসায় সময় দিন। ওরা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ কেবল পড়াশুনা নয় যেন ভালো মানুষ হয়ে ওঠে আসুন আমরা শিক্ষক অভিভাবক সকলেই সে বিষয়ে সচেষ্ট হই। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আমাদের বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের ও মান উন্নয়ন করবে। কেবল বিদ্যালয় ও টিউশন পাঠিয়েই আমরা যেন সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব সম্পাদন না করি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন
আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সহ
বিদুষী বারই মান্না
প্রধান শিক্ষিকা ও সম্পাদিকা
রাণীচক দেশপ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়
“আমরা কি কাউকে কিছু শেখাতে পারি? পরিবেশটি দিতে পারি মাত্র”
— স্বামীজী
